মিঠা পানির উৎস ও গুরুত্ব

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন - দ্বিতীয় পত্র | | NCTB BOOK

মিঠা পানির উৎস ও গুরুত্ব


মিঠা পানির উৎস
১. নদী ও হ্রদ:
নদী এবং হ্রদ মিঠা পানির প্রধান উৎস। এগুলো থেকে পানীয় জল, সেচ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পানি সংগ্রহ করা হয়।

২. উপনদী ও ঝর্ণা:
উপনদী এবং ঝর্ণা প্রাকৃতিকভাবে পাহাড় বা উঁচু এলাকা থেকে প্রবাহিত হয়ে মিঠা পানির চাহিদা মেটায়।

৩. তলস্তরের পানি (Groundwater):
তলস্তরের পানি বা ভূগর্ভস্থ পানি কূপ এবং টিউবওয়েলের মাধ্যমে উত্তোলন করে ব্যবহৃত হয়। এটি নিরাপদ পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

৪. বরফ এবং হিমবাহ:
উত্তর ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের বরফ এবং হিমবাহের গলিত পানি মিঠা পানির একটি বিশাল উৎস।

৫. বৃষ্টির পানি:
বৃষ্টির পানি সরাসরি ব্যবহারযোগ্য এবং প্রাকৃতিক চক্রের মাধ্যমে নদী, হ্রদ ও ভূগর্ভস্থ পানিতে যুক্ত হয়।


মিঠা পানির গুরুত্ব
১. জীবনধারণে অপরিহার্য:
মানব, প্রাণী এবং উদ্ভিদের জীবনধারণে মিঠা পানি অপরিহার্য। এটি পানীয় জল, খাদ্য উৎপাদন এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২. কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন:
সেচ কার্যক্রমের মাধ্যমে মিঠা পানি কৃষি জমিতে সরবরাহ করা হয়, যা খাদ্যশস্য উৎপাদনের মূল ভিত্তি।

৩. শিল্পকার্য:
শিল্প কারখানাগুলোতে কাঁচামাল পরিষ্কার, শীতলীকরণ এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় মিঠা পানি ব্যবহৃত হয়।

৪. বিদ্যুৎ উৎপাদন:
হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্ল্যান্টের মাধ্যমে মিঠা পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়।

৫. প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য:
নদী, হ্রদ এবং জলাভূমি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়ক। মিঠা পানি জীবজগতের প্রাকৃতিক আবাসস্থল তৈরি করে।


Content added By
Promotion